দুর্গাপূজায় অসুরের মুখে দাঁড়ি নিয়ে কোনো নেতিবাচক উদ্দেশ্য ছিল না : পূজা উদযাপন পরিষদ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

প্রতিমা ডেস্ক(১৩ অক্টোবর) :: শারদীয় দুর্গা পূজায় অসুরের মূর্তিতে দাঁড়ি লাগানোর ঘটনা কোনো নেতিবাচক উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

তারা বলেছেন, প্রতিমায় যে অবয়ব প্রকাশের কথা বলা হচ্ছে, তা নতুন বা হঠাৎ করে এ বছরই হয়েছে তা ভাবার কোনো কারণ নেই।

অতীতে অনেক প্রতিমায় তা শিল্পী বা আয়োজকরা নানাভাবে প্রকাশ করেছেন। এবার কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।

১৩ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পালসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এবার দুর্গাপূজায় ৭৯৩টি মণ্ডপে অসুরের মুখে দাঁড়ি লাগানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ফ্যাসিস্ট ও সহযোগীরা কয়েকটি পূজা মণ্ডপে অসুরের মুখে দাঁড়িয়ে লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করেছে। এই ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীর ইন্ধন ছিল।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গা পূজা শুরু হওয়ার পরে মহাষষ্ঠীর দিনে এই বিষয়টি পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নজরে আসে।

তখন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নেতারা ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশের বিভিন্ন মণ্ডপের অসুর প্রতিমায় অবয়বে দাঁড়ি অপসারণের ব্যবস্থা নেন। তখন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তবে দুর্গা পূজা শেষ হওয়ার পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের পরে একটি গোষ্ঠী সেই ঘটনাকে ‘ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে’ বলে মন্তব্য করেন বাসুদেব ধর।

তিনি বলেন, এমনটি চলতে থাকলে সাম্প্রদায়িক শক্তি উৎসাহিত হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নানাভাবে হয়রানি ও নিপীড়নের মুখে পড়তে পারে।

অন্যদিকে এবারের দুর্গাপূজায় সম্প্রীতির যে নজিরবিহীন ধারাটি তৈরি হয়েছে, তাও গতি হারাতে পারে।

এখন ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার অভিযোগ এনে দেশের অনেক স্থানে প্রতিমা শিল্পী, পূজারি ও আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পূজা উদযাপন পরিষদ।

বাসুদেব ধর বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশেষ করে পূজার আয়োজক ও প্রতিমা শিল্পীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে যেকোনো পূজা-পার্বণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হলে তা অস্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে ‘বিচ্ছিন্ন ও রাজনৈতিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে বলে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন।