প্রতিমা ডেস্ক(১৮ সেপ্টেম্বর) :: কবে ঘটবে এই আশ্চর্য ঘটনা? এটাই ছিল লাখ টাকার প্রশ্ন। অবশেষে জানা গেল, পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple) কর্তৃপক্ষ জানালেন, অচিরেই জগন্নাথ মন্দিরের মূল্যবান সামগ্রী ও অলঙ্কারগুলি (valuables and ornaments of the Lord) মূল রত্নভাণ্ডারে (original Ratna Bhandar) ফিরিয়ে আনা হবে। এখন সেগুলি একটি অস্থায়ী জায়গায়, একটি স্ট্রং রুমে (temporary strong room) সুরক্ষিত আছে।
দেবতার রত্নধন
জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পুরীর মন্দিরের মূল রত্নভাণ্ডারে ফিরছে শ্রী জগন্নাথদেবের অলঙ্কার। পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মন্দিরের মূল্যবান সামগ্রী ও অলঙ্কারগুলি একটি অস্থায়ী সংরক্ষণাগার থেকে মূল রত্নভাণ্ডারে ফিরিয়ে আনা হবে।
প্রেক্ষাপট
চার দশক পর ২০২২ সালের জুলাই মাসে রত্নভাণ্ডার সংস্কারের জন্য এটি পুনরায় খোলা হয়েছিল। তখন অলঙ্কার ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লোহার সিন্দুক এবং আলমারিতে ভরে মন্দিরের অভ্যন্তরে একটি অস্থায়ী জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (Archaeological Survey of India বা ASI) ঘোষণা করে, দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আর শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (SJTA)-র মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি জানান, যেহেতু সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তাই মূল্যবান সামগ্রীগুলি এবার ফের তাদের মূল স্থানে ফিরিয়ে আনা হবে।
স্থানান্তরের তারিখ ও সময়
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর, সকাল ৭টা ১৭ মিনিট থেকে সকাল ১১টা ১৭ মিনিটের মধ্যে শুভক্ষণে বিগ্রহের মূল্যবান সামগ্রীগুলি মূল রত্নভাণ্ডারে স্থানান্তরিত করা হবে।
কীভাবে স্থানান্তর
স্থানান্তরের সময় মন্দিরের নিয়মিত আচার-অনুষ্ঠানে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না, তবে ওই দিন জনসাধারণের জন্য দর্শন সীমিত থাকবে। যদি ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থানান্তর সম্পূর্ণ না হয়, তাহলে ২৪ সেপ্টেম্বরও এই কাজ চলবে। পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন।
সমস্ত অলঙ্কার স্থায়ী রত্নভাণ্ডারে রাখার পর, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির উপস্থিতিতে চেম্বারগুলি সিল করে দেওয়া হবে এবং চাবি জেলা ট্রেজারিতে জমা করা হবে। মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটি, যার প্রধান পুরীর গঞ্জপতি মহারাজা দিব্য সিং দেব, মূল্যবান সামগ্রীর একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করবেন।
সারি-দর্শন ও দানপাত্র
ওদিকে, আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, ভক্তদের জন্য নতুনভাবে সারি-দর্শন (queue darshan) ব্যবস্থা চালু করতে গেলে মন্দিরের ‘হুনডি’ (দানপাত্র) নাটমণ্ডপ থেকে সরিয়ে নেওয়া জরুরি। সেই প্রস্তাব করা হয়েছিল। অবশেষে তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
এই হুনডি থাকার কারণে সারি-দর্শন সম্ভব হচ্ছিল না। হুনডি স্থানান্তরের তারিখ মন্দির প্রশাসন এবং পুরীর জেলা কালেক্টরের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত হবে।