প্রতিমা রিপোর্ট(১৬ আগস্ট) :: পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
শহরের গোলদিঘী পাড়ে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জীবন ও দর্শন মানবজাতির জন্য এক অনন্য শিক্ষা। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন—প্রভুত্বে নয়, প্রেম ও ভ্রাতৃত্বেই রয়েছে পরম আশ্রয়। জন্মাষ্টমীর মূল বার্তা হলো সত্য, ন্যায়, প্রেম, ভ্রাতৃত্ব ও মানবকল্যাণ। এ মূল্যবোধ ধারণের মাধ্যমে আমরা সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারি। শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথ দেখাবে। কক্সবাজার জেলাবাসী সবসময় ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা প্রত্যাশা করি, এ উৎসব সমাজে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার বন্ধন আরও দৃঢ় করবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধন করেন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী । সভার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে সভার শুরুতে গীতা থেকে পাঠ করা হয়।

জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দোলন ধরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কক্সবাজার পৌরসভার আহ্বায়ক রফিকুল হুদা চৌধুরী,সাবেক মেয়র সরোয়ার কামাল,সাবেক পৌর কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জিসান উদ্দিন,জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমির আলী,কক্সবাজার রাধা দামোদর মন্দিরে অধ্যক্ষ রাধা গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী,জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি স্বপন দাশ(নাজির),জেলা রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল চক্রবর্তী,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক অজিত দাশ,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাশ,সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বাপ্পী শর্মা,সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ,পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেবু দাশ, বলরাম পাল,অরুপ শর্মা, ছাত্র প্রতিনিধি প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে শুরু হওয়া জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় হাজারো নারী-পুরুষ ভক্তদের ঢল নামে।শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি এক অনন্য আধ্যাত্মিক ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।শোভাযাত্রা শেষে পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।


