প্রতিমা ডেস্ক(১২ ফেব্রুয়ারী) :: বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচন কমিশনের রেজিষ্ট্রেশন পেতে চলেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি(বিএমজেপি)।
২০১৭ সালে তৈরি এই দলকে নির্বাচন কমিনের বৈধতা দিতে বাংলাদেশ হাই কোর্ট নির্দেশ জারি করেছে।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ওই দলকে রেজিস্টার্ড পার্টির স্বীকৃতি দিতে বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
২০২৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএমজেপির নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে বিফল হয়ে ২০২৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেন দলটির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল।
এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে আবেদন খারিজের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএমজেপিকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মো. ওমর ফারুক।
ইসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ এন এম আশিকুর রহমান খান।
রায়ের পর ইসির আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান বলেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ইসির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দলটির সভাপতি সুকৃতিকুমার মণ্ডল বলেন, আমাদের দলই সংখ্যালঘুদের পার্টি হিসাবে বাংলাদেশে প্রথম নিবন্ধন পেতে চলেছে।
একটা সময় হিন্দু লিগ নামে দল থাকলেও কমিশনের রেজিষ্ট্রেশন ছিল না। সেই দল হারিয়ে গিয়েছে।
দল গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের স্বার্থ দেখার কোনও দল নেই।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগের বছর অর্থাৎ ১৯৭০-এর নির্বাচনে ২৫ শতাংশ হিন্দু দলবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লিগকে ভোট দিয়েছিল।
হিন্দুদের সমর্থনের জোরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে দর কষাকষি শুরু করেছিলেন এবং শেষে স্বাধীনতার ডাক দেন।
কিন্তু আওয়ামী লিগ হিন্দুদের অবদান মনে রাখেনি। আওয়ামী লিগের জমানাতেও হিন্দুদের উপর সীমাহীন অত্যাচার হয়েছে।
বিশেষ করে জমি বাড়ি দখল মাত্রা ছাড়ায়। তারপরও সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লিগকে অন্ধের মতো সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে।
আমরা চাইছি সংখ্যালঘু ভোট মূল ধারার দলগুলির হাত থেকে বের করে আনতে। যাতে বাকিরা সংখ্যালঘুর স্বার্থ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরাও আছেন। আছে চাকমাসহ অসংখ্য জনজাতি। তারাও সংখ্যালঘু। দলের নামের সঙ্গেও সংখ্যালঘু কথাটি আছে।
তাহলে তিনি কেন শুধু হিন্দুদের নিয়ে সরব?
সুকৃতিকুমার মণ্ডল বলেন, আমরা সব সংখ্যালঘুর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। তবে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সিংহভাগ।


