প্রতিমা ডেস্ক(২২ অক্টোবর) :: বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন ও নির্যাতন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৯ ও ২০ অক্টোবর শনি ও রবিবার ভারতের রাঁচিতে অনুষ্ঠিত হয় এটি।
ভারতে সংগঠক “সনাতন সংঘ” সারা বিশ্বে হিন্দুদের ঘরোয়া দাবী জানাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ।
জাতিগত নির্মূল বন্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নৃশংসতার বিষয়ে তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মাইনরিটি ওয়াচ এর সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন ও নির্যাতন’ বিষয় নিয়ে তার গ্রাউন্ড জিরো তথ্য প্রকাশ করেন এবং নির্যাতনের প্রমাণ তুলে ধরেন।
পাশাপাশি ধর্মীয় বিভিন্ন মন্দির, সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে আগুন লাগানো, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, ধর্ষণ, অপহরণ, জোরপূর্বক জমি দখল, জমি বাজেয়াপ্ত করা, চাকমা ও প্রান্তিক মানুষদের আক্রমণ করা, হিন্দু হত্যাসহ অসংখ্য ঘটনাও তুলে ধরেন।
সম্মেলনে আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন ১৯৭১ সালে স্বাধিনতা যুদ্ধে হিন্দুরা সরাসরি অংশগ্রহন করে বাংলাদেশকে পরাধিনতা থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কিন্তু দেশের বিভিন্ন সরকারের শাসনামলে সংখ্যালঘু হিন্দুরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে যুগ যুগ ধরে। কোন রাজনৈতিক দল বা প্রতিষ্ঠান এই ধরনের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কিঞ্চিৎ বিচার করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
যার প্রেক্ষিতে দেশের সংখ্যালঘুরা আরও সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছে, নিজ দেশে পরবাসী হচ্ছে। সহাবস্থান ও ধৈর্য ধারণের অভিপ্রায়ে পুনঃ পুনঃ প্রচেষ্টা করেও কোন ফলপ্রসূ ন্যূনতম সাংবিধানিক, সার্বজনীন অধিকার অর্জিত হয় নাই।
মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের দাবি অনতিবিলম্বে নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে সহাবস্থান ও শান্তি (Peace and co-existence ) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবেন।
সম্মেলনে গ্লাভসের প্রায় দুশ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।


