মাতামুহুরি নদী তীরে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে হাজারো নারী-পুরুষের মিলনমেলা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া(১৩ অক্টোবর) :: “যেতে নাহি দিবো হায়, তবু চলে যেতে হয়, তবুও চলে যায়”।

হাসি-আনন্দ ও বেদনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সমাতনী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব। রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দূর্গা পুজা।

প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরি নদীর ব্রীজ পয়েন্টে বসেছিলো মিলনমেলা। সনাতনী সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ অশ্রুজলে বিদায় জানাই দূর্গা দেবীকে।

প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে ব্রীজ পয়েন্টে বসেছিলো মেলা। ব্যবসায়ীরা নানা রকমের জিনিসের পসারা সাজিয়ে বসেছিলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়ায় ৪৭ টি মন্ডপে প্রতিমা পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব মন্ডপের কিছু কিছু প্রতিমা স্থানীয় পুকুরে, আর কিছু প্রতিমা মাতামুহুরি নদীতে বিসজন হয়েছে।

তন্মধ্যে মাতামুহুরি নদীর ব্রীজ পয়েন্টে চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির দূর্গা প্রতিমাটা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

এসময় স্থানীয় হাজারো নারী-পুরুষ উপস্থিত হয়ে অশ্রুজলে মা’কে বিদায় দিয়েছে।

এদিকে, প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবসা গ্রহণ করেছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

চিরিংগা হিন্দু পাড়া থেকে মাতামুহুরি নদীর ব্রীজ পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ডেকে রেখেছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্য্যাব-১৫, আনসার বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে ছিলো।

চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি দূর্গা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা.অসীম কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক রিপন বসাক জানান, গত ৩ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি মায়ের পুজা করার জন্য। রবিবার বিকালে বিসজনের মধ্য দিয়ে মাকে বিদায় জানিয়েছি।

এই বিসজন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বিসজন অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।

বিসজন অনুষ্ঠান দেখতে মাতামুহুরি নদীর ব্রীজ পয়েন্টে জড়ো হয়েছিলো হাজারো নারী-পুরুষ।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনজুরুল কাদের ভুঁইয়া বলেন, গত পাঁচদিন পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে ছিলো। এই পাঁচ দিনে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

শেষ দিন অর্থাৎ বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ হয় সেজন্য সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। যার কারণে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে দূর্গোৎসব।