চকরিয়ায় ৪৭ পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব পালনে মাঠে সেনা-র‌্যাব ও পুলিশ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া(৭ সেপ্টেম্বর) :: একদিন পরই শুরু হচ্ছে সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।

এই উৎসবকে ঘিরে চকরিয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া পুজার বরাদ্দও প্রদান করা হয়েছে।

চকরিয়ায় প্রায় ৯০টি পূজা মন্ডপে শ্রী শ্রী দূর্গাপুজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে ৪৭টি মন্ডপে প্রতিমা পূজা ও ৪৩টি মন্ডপে ঘট পূজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দরা প্যান্ডেল তৈরীর কাজও শেষ করে ফেলেছে।

কিছু কিছু মন্ডপে প্যান্ডেল তৈরীর কাজ শেষ না হলেও আজকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।

এছাড়াও সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গোৎসব যাতে সুুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং আনন্দগন পরিবেশে শেষ হয় সেজন্য নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এজন্য মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, র‌্যাব,পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির বাহিনীর সদস্যরা।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার চকরিয়ায় ৯০টি পূজা মন্ডপের জন্য সরকারিভাবে প্রায় সাড়ে ৪৩ টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতিমা পূজার জন্য ৪০ হাজার ৪৫০ কেজি এবং ঘট পূজার জন্য ৩ হাজার ৫০ কেজি চাউল বরাদ্দ দেয়া হেয়ছে।

এসব চাউলের ডিও সোমবার সকালে প্রতিটা পূজা মন্ডপের সভাপতির অনুকুলে প্রদান করা হয়েছে। এসব চাউল বিক্রি করে ওই টাকা পূজার কাজে ব্যবহার করবে কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছর চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা সরকারি বরাদ্দের চাউল বিক্রি করে নগদ টাকা বন্টন করতো মন্ডপ কমিটির কাছে।

তাই সরকারি বরাদ্দের চাউল বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম ও দূর্ণীতি হতো বলে অভিযোগ ছিলো।

বরাদ্দ দেয়ার পরও প্রত্যেক কমিটি থেকে ১ হাজার টাকা কেটে নেয়া হতেও বলে অভিযোগ রয়েছে। এবছর উপজেলা প্রশাসন সরাসরি বরাদ্দ দেয়ায় এই টাকাও দিতে হয়নি।

কিন্তু এই বছর সরকারি বরাদ্দের চাউলগুলো প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতির অনুকুলে বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর ফলে বরাদ্দও বেশি পেয়েছে।

সরকারি বরাদ্দের এসব চাউল বিভিন্ন টিকাদারের কাছে বিক্রি করে ভালো অংকের টাকা পেয়েছে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দরা। সরকারি বরাদ্দ সঠিকভাবে পাওয়ায় মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দরা বেশ খুশি।

ফাঁসিয়াখালী রুদ্রপল্লী হরি মন্দির উদযাপন পরিষদের সভাপতি নয়ন রুদ্র বলেন,আমরা ইতোমধ্যে মন্ডপের কাজ শেষ করে ফেলেছি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রতিদিন টহলে আসছেন আইন-শৃঙলা বাহিনীর সদস্যরা।

চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় মন্দির দূর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন বসাক জানান, এবছর উপজেলা প্রশাসন সরকারি বরাদ্দ সরাসরি মন্ডপ কমিটির কাছে প্রদান করেছে।

এ কারণে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে পেরেছি। যার কারণে টাকাও বেশি পেয়েছি। এজন্য আমরা বেশ খুশি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনজুরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। এই উৎসব যাতে সুষ্টু, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দগন পরিবেশে উদযাপিত হয় সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৪৭টা পূজা মন্ডপের অনুকুলে প্রায় পুলিশের ১৬টি মোবাইল টিম কাজ করবে। প্রতি মন্ডপে পুলিশ, ছাড়াও সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী কাজ করবে। আশাকরি সবার সহেযাগিতায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারো এবার দূর্গোৎসব।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ফখরুল ইসলাম বলেন, সনাতনী সম্প্রদায়ের এই উৎসব যাতে সুষ্টুভাবে শেষ করতে পারি সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছি।

কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকালে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বরাদ্দ প্রতিটা মন্ডপ কমিটির সভাপতির অনুকুলে ডিও প্রদান করা হয়েছে। তারা এসব ডিও’র চাউল পূজার কাজে ব্যবহার করবে। আশাকরি সবার সহযোগিতায় সুষ্টুভাবে সর্ম্পন্ন করতে পারবো দূর্গোৎসব।

চকরিয়ায় ৯০ পূজা মন্ডপে সরকারি বরাদ্দের চাউল বিতরণ
———————————
একদিন পরই শুরু হচ্ছে সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।

সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৯০টি পুজা মন্ডপে অনুষ্টিত হচ্ছে দূর্গাপুজা। এসব পূজা মন্ডপের জন্য সরকারি বরাদ্দের চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চাউল বিতরণ কার্যত্রম উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ফখরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার, চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন দাশ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার, চকরিয়া পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদেও টিটু বসাক, চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির দূর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক রিপন বসাক, পিআইও এর অফিস সহকারি বাবুল পালসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার মন্দির ও পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ফখরুল ইসলাম বলেন, বুধবার থেকেই সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। এই উৎসব যাতে সুন্দও, সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলের অনুদানের চাউল প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতির নামে ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। এসব বরাদ্দ নেতৃবৃন্দরা পূজার কাজে ব্যবহার করবেন।