সংবাদ বিজ্ঞপ্তি (২৩ সেপ্টেম্বর) :: বিগত নির্বাচনের সময় ২০১৮ সালে সরকারী দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতি সমূহ বাস্তবায়নে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখা গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার পৌরসভার সম্মুখে সকাল ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি চলে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী বলে দাবিদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিচালনায় মহাজোট সরকার বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে ঐক্য পরিষদ ঘোষিত ৭ দফা দাবির প্রতি সহমত পোষণ করে তাদের নির্বাচনে ইশতেহারে দাবিগুলো উল্লেখপূর্বক নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রথমেই ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কালে এসেও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রানের এই দাবি বাস্তবায়ন না করায় আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পডার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের রাজনীতির স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত কিংবা বিপন্ন হওয়া অসম্ভব নয়।
সুতরাং আজকের এই গণঅনশন ও গণ অবস্থান কর্মসূচি থেকে বর্তমান সরকারের প্রতি সংগ্রামী আহবান ৩০ লক্ষ শহীদ ও অগনিত মহীয়সীর ত্যাগ তিতিক্ষায় অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অর্জন সার্থক করে তোলার লক্ষ্যে ঐক্য পরিষদ ঘোষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বের ৭ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করুন।
হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি,সাবেক ট্রাষ্টি অ্যাডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন,সহসভাপতি জেমসেন বড়ুয়া ,জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা:পরিমল কান্তি দাশ,স্বপন গুহ, চঞ্চল দাশ গুপ্ত, চকরিয়া পৌর ঐক্য পরিষদের সভাপতি রতন দাশ,মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি দীপ্তি শর্মা , সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বাপ্পী শর্মা,সাধারন সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম,পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক জনি ধর ,জেলা আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক মংথেলা রাখাইন, উখিয়া উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুমন শর্মা, সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক অজয় আচার্য্য,সাগর পাল সাজু, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব জয় বড়ুয়া প্রমুখ।পরে জল পানের মাধ্যমে অনশনরত সকলকে অণশন ভাঙ্গান অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ ।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবি সমুহ হলো- ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারী প্রতিশ্রুতি সমূহ হচ্ছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন। বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়ন। দেবত্তোর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন যথাযথ বাস্তবায়ন৷ পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।
