প্রতিমা ডেস্ক(২৭ জুন) :: বর্ষা ঋতুর আগমনের পরে বাংলায় বিভিন্ন উৎসব শুরু হয়। বর্ষাকালে বাঙালির বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান লক্ষ্য করা যায়।
এগুলির মধ্যে অন্যতম অম্বুবাচী, বিপত্তারিণীর পুজো, রথযাত্রা।
বিপত্তারিণী দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় সোজা রথ ও উল্টো রথের মাঝে। মোট দুই দিন এই দেবীর ব্রত পড়ে।
বিপত্তারিণী দেবীর ব্রত মঙ্গলবার ও শনিবার হয়ে থাকে। বিপত্তারিণী দেবীর ব্রত পালিত হয়েছে গত শনিবার। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আরও একটি ব্রত আছে।
বিশ্বাস অনুযায়ী বিপত্তারিণী দেবী ভক্তের জীবন থেকে সমস্ত ধরনের বিপদ দূর করেন।
ভক্তরা মনে করেন যে বিপত্তারিণী দেবীর ব্রত পালন করলে জীবন থেকে সমস্ত ধরনের বিপদ আপদ দূর হয়ে যায়।
দেবী দুর্গা ও কালির অন্য একটি রূপ হিসেবে পূজিত হন বিপত্তারিণী। এই দেবীও মা দুর্গার মতো সিংহবাহিনী।
কোথাও এই দেবী রক্তবর্ণা, আবার কোথাও এই দেবী কৃষ্ণা। তবে অনেকের মতে বাংলার লৌকিক দেবী হলেন বিপত্তারিণী।
প্রধানত বাংলার মহিলাদের মধ্যেই বিপত্তারিণী দেবীর ব্রত পালনের রীতি আছে। দেবীর ব্রত পালন করার পর ভক্তরা হাতে বিপত্তারিণী দেবীর লাল সুতোর তাগা বাঁধেন।
এই তাগায় থাকে ১৩ টি দূর্বা এবং ১৩ টি গিঁট। এছাড়াও দেবীকে ১৩ রকম ফল ও ১৩ রকম ফুল দিয়ে পূজো নিবেদন করা হয়। দেবী বিপত্তারিনীর ব্রতে বিভিন্ন রকম ভাবে এই ১৩ সংখ্যা ঘুরে ফিরে আসে।
তবে এই ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য কী সেটা কিন্তু কোথাও বর্ণনা করা নেই। লোকাচার হিসেবেই এই নিয়ম যুগের পর যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।
যে সকল ভক্তরা বিপত্তারিণী দেবীর ব্রত পালন করেন তাদের পুজোর আগের দিন নিরামিষ খেতে হয়। পুজো সম্পূর্ণ না হলে কেউ খাবার খেতে পারেন না। অম্বুবাচী আজ কিছুক্ষণ আগে ছেড়েছে। বিপত্তারিণী দেবীর ব্রত পড়ে আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া এবং শুক্লা দশমীর মধ্যেই।
হিসাব মতো মঙ্গলবার বিপত্তারিণী দেবীর দ্বিতীয় ব্রত পালিত হবে। তার পরের দিন অর্থাৎ বুধবার পালিত হবে উল্টোরথ।