কৈলাসে ফিরছেন দেবী দুর্গা,মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা : স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

প্রতিমা ডটকম(২৬ অক্টোবর)  :: অশুভ শক্তি নাশ করতে কৈলাশ ছেড়ে মর্ত্যলোকে এসেছিলেন দেবী দুর্গা। ভক্তদের দুঃখ দূর করে শান্তি বিলিয়ে দিয়ে গজে করে চলে যাবেন আজ। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বাজছে বিদায়ের ঘণ্টা। মাকে বিদায় জানাতে সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে করা হবে দশমীর বিহিত পূজা। এরপর স্বামীর মঙ্গল কামনায় সধবা নারীরা মায়ের পায়ে সিঁদুর ছোঁয়াবেন। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সিঁদুর খেলা হচ্ছে না। নিজ নিজ ঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল।

বিজয়া দশমীর দিন আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে বিহিত পূজা এবং পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বিজয়া দশমীতে মা দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশ করে শুভ শক্তির সঞ্চার করেন। আমরা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে এই পৃথিবীতে যেন সুন্দরভাবে প্রকৃত মানুষ হিসেবে বসবাস করতে পারি, তার জন্য মায়ের কাছে আমাদের আকুল আবেদন। সকালে দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মাতৃপূজা সম্পন্ন হবে।

মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এবার দুর্গা পূজাতে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হবে না। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এই নির্দেশনার আলোকে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা সারাদেশে পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী বিসর্জনের জন্য একটি ট্রাকে একসঙ্গে অনেক মানুষ গেলেও এবার একটি ট্রাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শুধু ১০ জন যেতে পারবে। এর বাইরে অতিরিক্ত কেউ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যাবে না।

  মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি স্ব-স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল করা হয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন। বিসর্জনের সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে সদরঘাটের ওয়াইজঘাট এলাকা। এছাড়া বালু নদী, তুরাগ নদী, মোহাম্মদপুরে বসিলা ব্রিজের কাছে ও ফরাশগঞ্জে বিসর্জন হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, আমরা মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে বিসর্জনের জন্য নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। সেই অনুযায়ী নিজ নিজ ঘাটে বিসর্জন হবে। বিসর্জনের সময় প্রতিবার শোভাযাত্রা হয়, এবার তা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রবিবার সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে মহানবমী পূজা এবং সোমবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারির কারণে  সংক্রমণ এড়াতে এ বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গা পূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামণ্ডপ। পূজায় এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়নি। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গা পূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিসর্জন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এবার দুর্গা পুজায় শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হবে না। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  নির্দেশনার আলোকে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা সারাদেশে পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিসর্জনের জন্য একটি ট্রাকে একসঙ্গে অনেক মানুষ গেলেও এবার একটি ট্রাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শুধুমাত্র ১০ জন যেতে পারবেন। এর বাইরে অতিরিক্ত কেউ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যাবেন না।

মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি স্ব স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল করা হয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন। বিসর্জনের সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাট এলাকা। এছাড়া বালু, তুরাগ নদ, মোহাম্মদপুরে বসিলা ব্রিজের কাছে  ও ফরাশগঞ্জে বিসর্জন হয়ে থাকে।

এই প্রসঙ্গে কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে বিসর্জনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সেই অনুযায়ী নিজ নিজ ঘাটে বিসর্জন হবে। বিসর্জনের সময় প্রতিবার শোভাযাত্রা হয়, এবার তা হচ্ছে না।’